​সুন্দরের বিভৎসতা

এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি নান্দনিক সুন্দরের পরিবেশগত ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে। পার্কে বসে আছি একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে প্রেমময়ী প্রেয়সীকে বরণ করে নেব বলে, বেঞ্চিতে বসে আছি দুজন, আমি বাদামের খোসা ছুলে জমাচ্ছি তার জন্য, আর সে আপন মনে উদাসীন বিকেলের স্নিগ্ধ আলোয় ফুলগুলোর এক এক পাপড়ি ছিঁড়ে একত্রে জড় করছে, মিষ্টি তার সে হাসি, কত উল্লাস, কত প্রাঞ্জল, কত স্নিগ্ধ সে হাসি। হঠাৎ আমি চমকে উঠি! আমি দেখি অদ্ভুত বিভৎস দেখা যাচ্ছে তার হাসিটা, তার হাতে একটি শিশুর মাথা আর সে ছিঁড়ে ছিঁড়ে মুখ থেকে মাংস, চামড়া, চোখ, কান খামচে খামচে ছিঁড়ে নিচ্ছে, আর এই ছেঁড়া মুণ্ডু আমিই এনেছি, প্রেয়সীকে বরণ করে নিতে। কোনো এক জল্লাদ পথে কাটা মুণ্ডু বিক্রি করছে, যার থেকে আমি কিনে এনেছি এই মুণ্ডুখানা, অতঃপর নিজেকে বুঝাতে শুরু করলাম, এ ভ্রম, যা এনেছি তা কেবলই ফুল। কিন্তু এই ফুলের মুগ্ধকর অনুভূতি, এ কি শুধুই অভিনয়? যা মুগ্ধ হবার মতো, তা কীভাবে ধ্বংস করা যায়? যদি যায়, তাহলে এটি কখনো মুগ্ধ হবার বিষয় হতে পারে না।

Comments

Popular posts from this blog

যাপনে জীবনের প্রভাব

​নিষ্প্রাণে প্রাণের সঞ্চার