গাছপালা, ইট, পাথর, মাটি, বায়ু বা আগুন, অচেতন মননে সবই জড়। আবার মনের চৈতন্যে যেনো এরা সবাই প্রাণ। "শৈল্পিক মন নিষ্প্রাণে করে দান, নব প্রাণ" এটি একটি ডাইমেনশন বা দেখার মাত্রা। যে দৃষ্টিকোণ স্থান পেয়েছে 'তৃতীয় চোখ বা দিব্যদৃষ্টি' শব্দসমূহে। নিষ্প্রাণ শব্দগুচ্ছ একত্রে পরপর সাজালে জ্বালাময়ী বক্তৃতা তৈরি হয়, যা একটি জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়, সংগঠিত করে সফল বিপ্লব, প্রতিবাদের ভাষায় শক্তি সঞ্চার করে, তীক্ষ্ণ করে বিচক্ষণতা। অতঃপর প্রাঞ্জলতার প্রতীকী স্বরূপ প্রকাশ পায় লেখাটি, এ যেন একটি লেখা তথা সাহিত্যের প্রাণ, যা সৃষ্টি হয় কোনো শৈল্পিক লেখকের চিন্তনে, এ প্রাণ শক্তি সঞ্চার করে শৈল্পিক পাঠকের মননে। আর, অচেতন পাঠক কিংবা অসার লেখকের কাছে এ পাঠ্য কেবলই নিরর্থক, মৃত ও অচল; অতঃপর তাদের কাছে লেখাটি নিষ্প্রাণ।