ঈশ্বরের মাত্রা

​দার্শনিক বার্কেলে এক প্রকার ঈশ্বরকে কল্পনা করতেন, যিনি তার অদৃশ্য শক্তির বলয়ে পৃথিবীর সমস্ত কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছেন। প্রথাগত ঈশ্বর নিয়ে কখনো কিছু না বললেও তিনি তাঁর দর্শনে একটি ঈশ্বরকে সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন এবং পেরেওছেন, একই রকম ঈশ্বরকে কল্পনা করেছেন ইহুদী লেখক ইউভাল নোয়াহ হারারি। হারারি বলেন, "অনেকগুলো মানুষ যখন কোনো বিষয়ের উপর বিশ্বাসে অটুট, তখন তা অবাস্তবও যদি হয়, তবুও তা সত্য, শাশ্বত"। এবং উদাহরণে হারারি বলেন টাকার প্রতি বিশ্বাসের কথা এবং সামাজিকভাবে এর ব্যবহারের প্রতি আমাদের আস্থার কথা। বার্কেলে বলেন, ঈশ্বর হচ্ছেন সকল মনের সমষ্টিগত বিশ্বাস, ওদিকে বাট্রান্ড রাসেলের কাছে ঈশ্বর হচ্ছেন "প্রকৃত বস্তুর" নামান্তর মাত্র, যার বিশেষ আদর্শগত বৈশিষ্ট্য থাকবে এবং সকলের সমষ্টিগত মনের উপর নির্ভর করবে, যা হারারির ধারণার সাথে অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে হারারি বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মনের বিশ্বাসের উপরই নির্ভর করে কোনটা সত্য, কোনটা পবিত্র বা শাশ্বত।

Comments

Popular posts from this blog

যাপনে জীবনের প্রভাব

​নিষ্প্রাণে প্রাণের সঞ্চার